Homoeopathic Aggravation - হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি
হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে চাইলে অনেক কথাই বলা যাবে । মৌলিকভাবে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি এমন একটি বিষয় যা থেকে কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকই সম্পূর্ণভাবে বের হতে পারবে না । যখন লক্ষণ সমষ্টি বিবেচনায় এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা বিশ্লেষণে যথাযথ নির্বাচিত সদৃশ বা সিমিলিমাম ঔষধ প্রয়োগ করা হয় ,কেবলমাত্র তখনই হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটে থাকে । অ্যাপ্লাইড মেডিসিনটি সুনির্বাচিত ও তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী হওয়ার কারণে মেডিসিনের সদৃশ প্রভাব থেকে নির্দিষ্ট মেডিসিনের প্রতি অতিস্পর্শকাতর' বা সাসসেপটিবল জীবনীশক্তি নিজেকে বাঁচানোর জন্য অধিকতর জোরালোভাবে যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে সেটাই মূলত হোমিওপ্যাথিক এগ্রাভেশান বা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হিসেবে পরিচিত।
সদৃশ এই প্রতিক্রিয়া থেকেই হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে জীবনীশক্তিতে রোগারোগ্যের মেকানিজম সৃষ্টি হয় । হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় । পাশাপাশি এটি একটি সমস্যা এবং প্রত্যাশার জায়গাও । প্রত্যাশার জায়গা এজন্য , যখনই ঔষধটি ঠিকঠাকমতো নির্বাচিত হয় কেবল তখনই হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটে । ঔষধ নির্বাচন ভুল হলে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি বা হোমিওপ্যাথিক এগ্রাভেশান কখনোই ঘটে না । যার অর্থ হলো ,যাদের প্র্যাকটিসে সঠিক সংজ্ঞা অনুসারে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটে থাকে ,তাদের ঔষধ নির্বাচন ঠিকঠাক মতো হয়ে থাকে , পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই অনুপযুক্ত শক্তি প্রয়োগের ঘটনাও ঘটে । তবে ঠিকঠাক নির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যত সূক্ষ্ম ভাবেই প্রয়োগ করা হোক না কেন ,তার একটা মিনিমাম পর্যায়ের হলেও হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটবেই । যাদের প্র্যাকটিসে সর্বদা অথবা অধিকাংশ সময়ই হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি না ঘটার অভিজ্ঞতা দাবি করেন ,নীতিমালা অনুসারে তাদের ঔষধ নির্বাচন ঠিকঠাক মত হয়না, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যায়.।। হোমিওপ্যাথিস্ট আফজাল ইসলাম, আবিষ্কারক এবং প্র্যাকটিশনার, আফজাল ভাইব্রেশন অ্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি সিস্টেম, দূর নিয়ন্ত্রিত হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ পদ্ধতি ।
43Afsana Pervin Sonia, Muhammad Tasnim and 41 others
4 Comments
6 Shares
আমরা ‘হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি’ নিয়ে কথা বলছিলাম।
হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি কথাটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সুপরিচিত পরিভাষা, যার সাথে প্রায় প্রত্যেক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সুস্পষ্ট অথবা অস্পষ্টভাবে পরিচিত এবং নিত্যদিন বিষয়টির সাথে প্রাকটিশনার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাতভাবে মুখোমুখি হয়ে থাকেন।
হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি সেটাই, যখন কোন হোমিওপ্যাথিক সুনির্বাচিত সদৃশ ঔষধ প্রয়োগ করার পর রোগীর মধ্যে উপস্থিত লক্ষণের তীব্রতা অথবা উপস্থিত লক্ষণের কষ্টকর অনুভূতি জোরালোভাবে প্রকাশ করে থাকে। রোগীর অতি স্পর্শকাতরতা, নির্বাচিত ঔষধের শক্তি এবং মাত্রার অপ্রয়োজনীয় প্রয়োগ, গভীর ক্রিয়াশীল ঔষধের নিজস্ব শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করার প্রবণতা ,রোগের স্থানগত অবস্থান এবং প্যাথলজিক্যাল কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি সংঘটিত হয়। অ্যাপ্লাইড মেডিসিন সদৃশ না হলে সদৃশ বৃদ্ধি ঘটে না । অ্যাপ্লাইড মেডিসিন সদৃশ ,কিন্তু রোগীর সেনসেটিভ স্ট্রাকচারাল স্কেল অনেক কম, তাহলে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি অনেক কম ঘটবে। রোগীর সেনসিটিভিটি অতিরিক্ত হলে,কম সেনসিটিভ ব্যক্তির তুলনায় তার দেহে অনেক বেশি জোরালোভাবে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি প্রকাশিত হবে ।নির্বাচিত ঔষধটি যত বেশি সিমিলিমাম হবে , নির্দিষ্ট রোগীর ততবেশি সিমিলিমাম ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধির স্পর্শকাতরতার লেভেল সৃষ্টি হবে । যত কম সদৃশ হবে ততো কম সদৃশ স্পর্শকাতরতা উপস্থিত থাকবে । নির্বাচিত ঔষধটি গভীর ক্রিয়াশীল অথবা উৎস ভিত্তিক গভীর ক্ষমতা সম্পন্ন হলে ,অগভীর এবং মার্জিত ঔষধের তুলনায় অধিকতর হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটানোর ক্ষমতা মেডিসিন এর মধ্য ন্যাচারালি ধারণ করা থাকবে। সুনির্বাচিত ঔষধ মস্তিষ্ক,হার্ট্,ফুসফুস,লিভার, কিডনি ইত্যাদি ভাইটাল অর্গানে ভয়ঙ্কর এগ্রাভেশান সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে একই মেডিসিন দেহের অন্য জায়গায় সমানভাবে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধির ভয়ঙ্কর রূপ প্রকাশ করতে পারে না। একই সদৃশ ঔষধ উচ্চ শক্তিতে এবং অপ্রয়োজনীয় মাত্রয় যতটা ভয়ঙ্কর ও ক্ষতিকর হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম, মার্জিত নিম্ন শক্তিতে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্র মাত্রাতে ততটা ভয়ঙ্কর, ক্ষতিকর এবং কষ্টকর হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম হয় না। রোগীর কষ্টকর লক্ষণসমূহের বৃদ্ধি ঘটিয়ে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধির স্বরূপ প্রকাশ করে থাকে , অন্য লক্ষণ বৃদ্ধি হলে সেটা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচিত হবে না ।মাথা ব্যাথার রোগীদের ,পেট ব্যথা প্রকাশিত হলে তাকে হোমিওপ্যাথিক বা সদৃশ বৃদ্ধি বলে চালিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধিতে মাথা ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যাবে ,পেট ব্যথা অথবা অন্য কোন ব্যথার সৃষ্টি হবে না। ডান পাশে আক্রান্ত অঙ্গের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটলে বাম পাশে কোন রোগের বৃদ্ধি করবে না। যদি ঘটে তাহলে সেটা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে না । হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হলে ডান পাশে আক্রান্ত ন্যাচারাল রোগের স্থানেই কষ্টের বা লক্ষণের মাত্রা অধিকতর প্রকাশিত হবে।একদম নতুন লক্ষণের সৃষ্টি অথবা নির্দিষ্ট অসুস্থ অঙ্গের বাহিরে অন্য কোথাও কোন কষ্টের লক্ষণ প্রকাশিত হলে নীতিমালা অনুসারে তা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধির সংজ্ঞাভুক্ত হবে না। হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট নির্বাচিত অ্যাপ্লাইড মেডিসিন প্রয়োগের মাত্রা যথাযথভাবে হ্রাস করে নিয়ে আসলে এবং রিপিটেশন এর মধ্যবর্তী সময় যথেষ্টভাবে বাড়িয়ে দিলে রোগীর হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধিজনিত কষ্টকর অবস্থা ধীরে ধীরে কমে আসবে এবং ন্যাচারাল রোগ লক্ষণগুলো আরোগ্যের দিকে অগ্রসর হবে। কখনো কখনো অতিরিক্ত এবং বাড়াবাড়ি রকমের হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটার কারণে অথবা মাত্রা ও শক্তি যুক্তিহীনভাবে বেশি হওয়ার কারণে অ্যান্টিডোট মেডিসিন দিয়ে পূর্বের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়। অতঃপর একই মেডিসিন নিম্ন শক্তিতে এবং অতীব ক্ষুদ্র মাত্রায় প্রয়োগ করা হলে পূর্বের মত অনভিপ্রেত হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটে না, যতটুকুই ঘটে সেটা যৌক্তিক এবং রোগ আরোগ্যের ন্যাচারাল মেকানিজম সৃষ্টি করার জন্য প্রয়োজনীয় । মেকানিজম সৃষ্টি হলে ধীরে ধীরে রোগ আরোগ্যের দিকে ধাবিত হতে থাকে । যদি অ্যান্টিডোট দেওয়ার পর পূর্বের একই মেডিসিন উপযুক্ত শক্তি ও মাত্রাতে প্রয়োগ করা সত্ত্বেও রোগারোগ্যের গতি সৃষ্টি না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে পূর্বের মেডিসিনটি হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটায়নি বরং সেটা ছিল বিসদৃশ বা ভুল নির্বাচিত ঔষধের নিজস্ব লক্ষণ । হোমিওপ্যাথিক নীতিমালা অনুসারে রোগ আরোগ্যের জন্য লক্ষণ সমষ্টি এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা বিশ্লেষণ করে পারফেক্ট সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটার অজুহাতে রেমিডি নির্বাচনে খামখেয়ালীপনা এবং উদাসীনতা গ্রহণযোগ্য নয় । রোগারোগ্যের ন্যাচারাল গতি ও মেকানিজম সৃষ্টির লক্ষ্যে সহনীয় মাত্রায় হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি কাঙ্খিত অযৌক্তিক বিষয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ,অযৌক্তিক্ ,কষ্টকর ,দীর্ঘমেয়াদী ,অনভিপ্রে্ত , অসহনীয় ,অসহ্যকর , ক্ষতিকর হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসক সর্বোচ্চ সতর্ক -সচেতন এবং জ্ঞান সম্পন্ন থাকা জরুরী বিষয়।
হোমিওপ্যাথিস্ট আফজাল ইসলাম,
আবিষ্কারক এবং প্র্যাকটিশনার ,
আফজাল ভাইব্রেশন অ্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি সিস্টেম ,
দূর নিয়ন্ত্রিত হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ পদ্ধতি ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন