ক্লিনিক্যাল তিক্ত অভিজ্ঞতা (রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের জন্য শিক্ষনীয়)

চুলকানি, এলার্জি, উদ্ভেদ, দাদ এবং বিভিন্ন নামের ও ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হয় কম বেশি সকলেই। পৃথিবীর অধিকাংশ রোগ সৃষ্টির শিকড় এবং মৌলিক কারণ সোরা মায়াজমের সাথে এগুলোর গভীর সম্পর্ক আছে।

হোমিওপ্যাথিতে সোরা মায়াজমের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মেডিসিন সালফার। সবচেয়ে কমন এন্টিসোরিক মেডিসিন সালফার৷ সালফার প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই প্রয়োজন হয়। কিন্তু সমস্যা হলো যখন সালফার প্রয়োগের উপযুক্ত সময় থাকে বা ছিলো ঠিক তখনই সাধারণত সালফারের রোগী হোমিওপ্যাথিতে আসেনা। যখন আসে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক দেরি হয়ে যায়। রোগ লক্ষণগুলির অবদমন এবং বিকৃত কন্ডিশন নিয়ে সালফারের রোগী আমাদের কাছে আসেন। এখানেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা বাধে। 

কারণ এ পর্যায়ে সালফারের রোগীকে চিনতে চিনতে অনেক সময় লেগে যায়। সুফারশিয়াল রোগ লক্ষণ ধরে ঔষধ প্রয়োগ করলে তেমন অগ্রসর হওয়া যায়না। গভীর মায়াজমেটিক লক্ষণ ধরে ঔষধ প্রয়োগ করলে ভয়ানক হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটে অথবা ঐতিহাসিক সকল চাপা পড়া রোগগুলি গর্ত থেকে বের হওয়া শুরু করে৷ এন্টি সোরিক মেডিসিন সালফার পুরাতন রোগ লক্ষণ বের করার উস্তাদ।

একইভাবে কষ্টকর, অসহিষ্ণু হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি সৃষ্টি করারতেও সে অনেক বেশি এক্টিভ। এমতাবস্থায় চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ই বিপদে পড়তে হয়। চাপ নিতে হয়। অসহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টি হয়। না পারা যায় সালফারকে বাদ দিয়ে রোগী চিকিৎসায় অগ্রসর হতে। না পারা যায় হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি এবং বেরিয়ে আসা চাপা পড়া লক্ষণগুলো সহ্য করতে। এমতাবস্থায় রোগীর পক্ষ থেকে অনেক বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। চিকিৎসক মেডিসিন অথবা শক্তি পরিবর্তনে নিজের হাত কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়।

Afjal Islam

Discoverer of Afjal Vibration and frequency system 

( Remote controlling Homeopathy treatment system)