আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

  

পুষ্টিবিদদের মতে, সহজলভ্য এই আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডন্ট, যা শরীর ফিট ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদিতে ভরপুর এই ফল। জেনে নিন আনারসের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

👉 ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করে থাকে।
👉 ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
👉 হাড়ের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
👉 হাড়ের গঠন এবং হাড়কে করে তোলে মজবুত।
👉 ক্রিমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
👉 ক্যান্সার প্রতিরোধী।
👉 পুষ্টির অভাব দূর করে। 
👉 দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায় কাজ করে। 
👉 রক্ত জমাটে বাধা দেয়।
👉 পুষ্টির অভাব দূর করে।
👉 হজমশক্তি বাড়ায়।
👉 চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় উপকারি।
👉 ওজন কমাতে সাহায্য করে।
👉 ক্যানসার এবং হৃদরোগের উপকার করে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

আনারস বহু শতাব্দী ধরে ওষুধের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও এনজাইম, যা সম্মিলিতভাবে অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তুলতে এবং প্রদাহ দমন করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মমাফিক আনারস খান, তাঁদের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম।

 চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আনারসে থাকে বিটা ক্যারোটিন, যা চোখের রেটিনা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোগ হওয়া থেকে চোখকে রক্ষা করে। এই ম্যাকুলার ডিজেনারেশন চোখের রেটিনাকে নষ্ট করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দেয়। রোজ আনারস খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়।

বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ

আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয় না। আনারস একটি অ্যাসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যে কোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। হতে পারে বদহজম, পেট ফাঁপা ও পেট খারাপ। 

তাই দুধ-আনারস একসঙ্গে না খেয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দেয়া যেতে পারে। কারণ একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার কোনো কারণ নেই। 

গর্ভপাত ঝুঁকি: 
আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে। এই কারণে গর্ভাবস্থায় থাকলে মহিলাদের আনারস খেতে নিষেধ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়:
আনারসে থাকে বেশি পরিমাণে চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে দুইদিন খেতে পারেন। 

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
আনারসে থাকে ব্রমিলেইন যেটি দিয়ে ঔষধ তৈরি হয়ে থাকে। 
আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

অ্যালার্জীর আক্রমণ:
আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হলে ঠোঁট ফুলে যায় ও গলায় সুরসুরি বোধ হয়। তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।

দাঁতের জন্য ক্ষতিকর:
আনারস আমাদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। যাদের দাতে কেভিটিস ও জিংজাইভেটিভস এর সমস্যা আছে তাদের আনারস না খাওয়াই ভালো। 

একজন সুস্থ-স্বাভাবিক ব্যক্তি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টুকরো আনারস খেতে পারেন। কখনো একটা পুরো আনারস একা খাবেন না। এই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে কখনো রস বের করে খাবেন না। কারণ, রস বের করে খেলে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। তাই টুকরো করে খান।

তথ্যসূত্র : প্রাগুক্ত 

Dr. Imam Hossain 
(Homeopathic Consultant) 
(Research Fellow, Afjal vibration & Frequency system


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ফিংগারপ্রিন্ট বলে দিবে রোগীর হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন কি হতে পারে !!!!????( Fingerprint Will Guide about Homeopathy Medicine Selection for Individual Patient !!!!????