আপেলের পুষ্টি ও ঔষধি গুন

আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে যা শরীরকে  কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরােধেও আপেলের ভূমিকা অপরিসীম। গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন আপেল খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়। আপেলে প্রচুর পরিমানে পানি থাকে যা তৃষ্ণা ও পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। পুষ্টি বিজ্ঞানিদের মতে, সকাল বেলা আপেল খাওয়া খুবই উপকারী। রাতে বা বিকেলে আপেল খাওয়া ঠিক নয়। রাতের বেলা আপেল খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপেল এর উপকারিতা: 
 সম্মানিত পাঠক আসুন এবার জেনে নেই আপেল এর উপকারিতা এবং পুষ্টিগুন যা আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আপেল ক্যান্সার প্রতিরােধক: 
 আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় ২৩% হারে কমে। কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভােনল থাকে। আপেলের  মধ্যে ট্রিটারপেনয়েডস   উপাদান লিভার, স্তন এবং কোলােনের মধ্যে ক্যান্সারের কোষ বেড়ে উঠতে বাঁধা দেয়। তাছাড়া এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, আপেলের মধ্যে যে পরিমাণে  ফাইবার থাকে,  তা মলাশয়ের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। 

আপেল হার্ট ভালাে রাখে: 
 আপেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদানসমূহ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্টে রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। ফলে হৃদযন্ত্রের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: 
ওজন নিয়ন্ত্রণে আপেল খাওয়া খুবই উপকারী। ফলটিতে উপস্থিত ফাইবার কোনও ক্যালরি ছাড়াই পেট ভরাতে সাহায্য করে এর ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যেসব মহিলা ওজন কমাতে চায় তারা দৈনিক তিনটি আপেল খেলে ডায়েট করার চেয়ে ভালাে ফল পাবে।

সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য আপেল: 
 আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়। আপেলের রস আপনার দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া দাঁতের কোনও ক্ষতি করতে পারেনা। ফলে দাত ভালাে থাকে এবং দাঁত শক্ত ও মজবত করে থাকে। 

রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায়: 
আপেলের মধ্যে কুয়েরসেটিন নামক এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তােলে এবং আমাদের শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়: 
আপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে যা ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

শরীরের ত্বক ভালাে রাখে:
 আপেল ত্বক মলিন রাখে এবং মুখের ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত প্রতিদিন আপেল খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।  

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : 
 আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভনয়েড ও পলিফেনল নামক উপাদান আছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রধান উপাদান। আর এই উপাদান দুটি আমাদের শরীরের DNA এর ক্ষতি রােধ করে এবং ক্যানসারও রােধ করতে সাহায্য করে। 

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
নিয়মিত আপেল খেলে পাকস্থলীতে হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরী হয়। যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।

আপেল খাওয়ার সতর্কতা:
আপেলের বিজ থেকে সাবধান। কারন আপেলের বিজ ড্রাগ অর্থাৎ সায়ানাইডের ভূমিকা নিতে পারে। আপেলের বীজ থেকে নানা ধরনের ড্রাগ উৎপন্ন করা হয়। সাধারনত ২০০ টি বিজ খেলে এর প্রভাব শরীরে পরতে পারে, এর আগেও পরতে পারে। তাই আপেলের বিজ এড়িয়ে চলাই ভালো। সাধারনত গর্ভবতী ও স্তন্যপান করানো মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপেল খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

তথ্যসূত্র : প্রাগুক্ত 


Dr. Imam Hossain 
(Homeopathic Consultant) 
(Research Fellow, Afjal vibration & Frequency system

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ফিংগারপ্রিন্ট বলে দিবে রোগীর হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন কি হতে পারে !!!!????( Fingerprint Will Guide about Homeopathy Medicine Selection for Individual Patient !!!!????