আমলকীর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

আমলকি টক আর তেতো স্বাদের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল।  পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকীতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম  ভিটামিন ‘সি’ দরকার। এই পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’  দিনে দুটো আমলকি খেলেই এসে যায়।


👉 আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
👉 বমি বন্ধে কাজ করে।
👉 এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।
👉 এটি দাঁত,চুল ও ত্বক ভাল রাখে।
👉 এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়।
👉 কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল,রক্তশূন্যতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।
👉 বহুমূত্র রোগে এটি উপকারী।
👉 চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে।
👉 প্রতিদিন সকালে আমলকীর জুস খাওয়া পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে।
👉 আমলকী শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়।
👉 উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকী খুব দ্রুত কাজ করে। 
👉 আমলকী চুলের গোড়া মজবুত এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
👉 আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। 
👉 পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
👉 আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
👉 প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।
👉 আমলকী মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। 
👉 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
👉 মানসিক চাপ কমায়। 
👉 কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
👉 ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
👉 শরীর ঠাণ্ডা রাখে ।
👉 শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ।
👉 পেশী মজবুত করে।
👉 শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
👉 লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
👉 পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
👉 ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
👉 কোলেস্টেরল লেভেল কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে

সতর্কতা :

দিনে দু’একটির বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সার্জারি হলে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়াও ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া উচিত।

>> অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী মায়েরাও আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
>> হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বেশি মাত্রায় আমলকি খাওয়ার অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগের সমস্যা থাকলে ফলটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
>> আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জিও হতে পারে। এ ছাড়াও পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে।
>> এ ফল শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে জ্বর-সর্দি বা কাশি হতে পারে। 

তথ্যসূত্র : প্রাগুক্ত 

Dr. Imam Hossain 
(Homeopathic Consultant) 
(Research Fellow, Afjal vibration & Frequency system


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ফিংগারপ্রিন্ট বলে দিবে রোগীর হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন কি হতে পারে !!!!????( Fingerprint Will Guide about Homeopathy Medicine Selection for Individual Patient !!!!????