গাজরের খাদ্য ও পুষ্টিগুন

গাজরের উপকারীতা:
 👉গাজর-লেবুর মিশ্রণ গাঁটের ব্যথায় উপকারী।

👉 অন্ত্রনালীর সুস্থতা বজায় রাখে।

👉 গাজর মানবদেহে এসিড ও ক্ষারের সমতা রক্ষা করে।

👉 রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে গাজর ভূমিকা রাখে।

👉 স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

👉 পেটের নানা রকম সমস্যা যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

👉 কিডনি রোগ ও অ্যালার্জি সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকর।

👉 থায়রয়েডের হরমোন সংশ্লেষণে বাধা দেয়।

👉 কর্মশক্তি যোগায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

👉 শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের অপুষ্টি দূর করে।

👉 শিশুদের হাড়ের গঠন ও চোখের সুস্থতা রক্ষা করে।

👉 শরীরে শক্তি যোগায়।

👉 চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে।

👉 হার্ট সুস্থ ও সচল রাখে।

👉 হাড় ভালো ও মজবুত রাখে।

👉 উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

👉 ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

👉 ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখে।

👉 হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

👉 বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

👉 মস্তিষ্ক ক্ষয় হ্রাস

গাজরের অপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
যেহেতু গাজর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্য উপযোগী খাদ্য এবং ব্যবহারের জন্য একটি খুব ভালপরিমানে রয়েছে তাই সম্ভবত আপনি এটি খুব বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেছেন। তবে, এর অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। করণ! এর অত্যধিক পরিমাণে সেবন করলে আপনাকে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুখোমুখি হতে পারে। তা নিম্নে উল্যেখ করা হলো:

১) গাজরের মধ্যে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন আছে। যা আপনার শরীরে ভিটামিন-এ এর ঘাটতি দূর করে। তবে, আপনি যদি এটি খুব বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে তা আপনার ত্বকের রঙ পরিবর্তন করে দিতে পারে।

২) আপনার গাজর থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

৩) আপনি যদি ডায়াবেটিসে ভগতে থাকেন তবে, কাঁচা অবস্থায় বা সিদ্ধ করে গাজর খাবেন না। কারণ! গাজরে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। যার ফলে সুগার বা ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে।

৪) প্রচুর পরিমাণে গাজর গ্রহণের ফলে ত্বকের রং হলুদ হয়ে যায় এবং শিশু ও অল্প বয়সের শিশুদের মধ্যে দাঁত ক্ষয় হতে পারে।

৫) প্রচুর পরিমাণে গাজর খেলে আপনার দেহে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, দস্তা ইত্যাদি খনিজগুলির শোষণে প্রভাব ফেলতে পারে।

৬) আপনি যদি সঠিক পরিমাণে গাজর সেবন করেন তাহলে আপনার হজম শক্তি উন্নতি করতে পারে। অন্যদিকে, এর চেয়ে বেশি পরিমাণে গাজর খেলে আপনার গ্যাস, ডায়রিয়া, পেট, পাকস্থলী ইত্যাদির মতো পাচনজনিত ব্যাধিগুলির সমস্যা হতে পারে।

৭) অতিরিক্ত পরিমাণে গাজরের রস খাওয়ার ফলে মহিলাদের বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হয়।

উল্লিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখুন এবং সুস্বাদু গাজর খান এবং রোগগুলিকে বিদায় জানিয়ে স্বাস্থ ভালো রাখুন।

তথ্যসূত্র : প্রাগুক্ত 

Dr. Imam Hossain 
(Homeopathic Consultant)
(Research Fellow, Afjal vibration & Frequency system

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ফিংগারপ্রিন্ট বলে দিবে রোগীর হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন কি হতে পারে !!!!????( Fingerprint Will Guide about Homeopathy Medicine Selection for Individual Patient !!!!????