কলার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ
👉 হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
👉 উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
👉 স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
👉 রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।
👉 দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
👉 সন্তানসম্ভবা নারীর দুর্বলতা কাটাতে কাজ করে এবং রক্তের শর্করার সামঞ্জস্য বজায় রাখে।
👉 পাকস্থলির এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে।
👉 আলসার রোধে কাজ করে।
👉 কোষ্টকাঠিন্য দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখবে।
👉 কিডনি সুস্থ রাখে।
👉 শরীরে শক্তি যোগায়।
👉 খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
👉 রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
👉 বুক-জ্বালা রোধ করে।
👉 ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
👉 মানসিক চাপ কমায় ও সুনিদ্রায় সহায়তা করে।
👉 ত্বক সজীব করে।
👉 শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে।
👉 অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমে ।
👉 ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এবার জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন একটা করে কলা কেন খাবেন—
মানবদেহের ক্ষয়পূরণ, পুষ্টিসাধন এবং সুস্থ-সবল ও নীরোগ রাখার জন্য যেসব পুষ্টি উপাদান দরকার তার প্রায় সবগুলোই কলাতে আছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কলাতে আছে ৭.০ গ্রাম প্রোটিন, ২৫ গ্রাম শর্করা, ০.৮ গ্রাম চর্বি, ০.১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্ল্যাভিন) ও ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। এছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কলাতে আছে ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯০ মিলিগ্রাম লৌহ, ৮০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন (ভিটামিন ‘এ’) এবং ১০৯ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি।
কাঁচকলা ইনসুলিন সেনসিটিভ
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স টাইপ টু ডায়বেটিসসহ বিশ্বের মারাত্মক সব রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। কলার রেজিস্ট্যান্স ফাইবার ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫-৩০ গ্রাম রেজিস্ট্যান্স ফাইবার প্রতিদিন গ্রহণ করলে মাত্র ৪ সপ্তাহের মধ্যে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশ। আর কাঁচকলা রেজিস্ট্যান্স ফাইবারের সবচেয়ে ভালো উৎস।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখলে ৪০ শতাংশ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
পুষ্টিগুণের কারণেই অনেকে সকালে খালি পেটে কলা খেয়ে থাকেন। ভাবেন, অন্য অনেক খাবারের মতো এটিও শরীরে অনেক পুষ্টি জোগাবে। কিন্তু কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলায় উচ্চ মাত্রার চিনি বিদ্যমান রয়েছে যা শরীরে শক্তি জোগাতে কাজ করে। তাই আপনি যদি সকালে খালি পেটে কলা খান, তাহলে আপনার শক্তি কয়েক ঘণ্টা পরই বেরিয়ে যাবে। এর ফলে আপনি অলস হয়ে পড়বেন। ক্লান্ত লাগবে এবং ঘুম পাবে। তাই খালি পেটে কলা না খাওয়াই ভালো।
অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় শুকনো কিছু খাবারের সঙ্গে কলা মিলিয়ে খাওয়া ভালো। তা না হলে শরীরে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এতে হৃদরোগ হওয়ার শঙ্কাও দেখা দেয়। শুধু সকালে কলা নয়, বরং কোনো ফলই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এখনকার দিনে সতেজ কোনো ফল খুজে পাওয়া যায় না বললেই চলে। এ ছাড়া ফলগুলোতে নানা রাসায়নিক থাকে। তাই সকালে খালি পেটে এসব খাবারের রাসায়নিকগুলো সরাসরি পেটে প্রবেশ করে। তখন পুষ্টি সরবরাহ করার বদলে এগুলো শরীরে নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য।
Dr. Imam Hossain
(Homeopathic Consultant)
(Researchers Fellow, Afjal vibration & Frequency system)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন