হোমিওপ্যাথির প্রাণপুরুষ ও আবিস্কর্তা
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের পরে যিনি শক্ত হাতে হোমিওপ্যাথির হাল ধরেছেন, নিরলস পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও গবেষণার মাধ্যমে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় হোমিও জগতে নবজাগরণে ভূমিকা রেখেছেন,
যে দম্পতির অবদান হোমিওপ্যাথি জগতে স্বর্নাক্ষরে চির অম্লান, তাঁরা হলেন ডা: কেন্ট দম্পতি। এই মহৎপ্রাণ দম্পতি হোমিওপ্যাথির কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করে স্বীয় চোখদ্বয় অন্ধত্ব বরন করে ৭৫ হাজার রুব্রিক সমৃদ্ধ রেপার্টরী গ্রন্থ রচনা করে পূর্বাপর অনাগত হোমিওপ্যাথগণের চোখের মনিতে পরিনত হয়েছেন। পিওর হোমিওপ্যাথি অনুশীলনে অর্গাননের পরে কেন্ট ফিলোসোফির বিকল্প নেই। কেন্টের বিখ্যাত উক্তি "Mind is Man" মনই মানুষ।
তাঁর রচিত রেপার্টরী গ্রন্থের প্রথম অধ্যায় হলো Mind। মানবদেহের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা vital force এর একান্তই কাছাকাছি মন বা Mind। তাই রোগীর হারানো স্বাস্থ্যের পুণ:প্রতিষ্ঠায় মানসিক লক্ষনের গুরুত্ব অপরিসীম তাৎপর্য বহন করে। এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ মনোলক্ষণের অধিকাংশ লক্ষণগুলো দৈনন্দিন চিকিৎসা কার্য্য পরিচালনায় এতোদিন অবহেলিত ছিল। মদন লাল সেহগাল মাইন্ড মেথডের মাধ্যমে মনের অবহেলিত রুব্রিক গুলো ব্যবহারের অভিনব কৌশল উদ্ভাবন করে চিকিৎসা জগতে চিন্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। ফলশ্রুতিতে, হোমিওপ্যাথির জনক বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের কালজয়ী চিকিৎসক সংবিধান গ্রন্থ অর্গানন অফ মেডিসিনের Aphorism -211 ব্যবহারের পথ সুগম হয়েছে। এই সূত্রে মহাত্বা হ্যানিম্যান মানসিক লক্ষনের সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে কান টানলেই মাথা আসে প্রবাদের যথার্থতা প্রমাণ করে।
অর্থাৎ মানসিক লক্ষনের যথাযথ মূল্যায়ন করে চিকিৎসা কার্য পরিচালনা সম্ভব হলে দৈহিক কষ্ট ও লক্ষনগুলো অপেক্ষাকৃত দ্রুতই আরোগ্যের সোনালী পথে অগ্রসর হয়।কেননা, দেহরাজ্যের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ তথা জীবনীশক্তির বলয়ে Dynamic Energy সমৃদ্ধ হোমিওপ্যাথি মেডিসিন মিত্র শক্তির ভূমিকায় একযোগে Dynamic রোগ শক্তির প্রভাব মুক্ত করে দেহকে পূর্বের ন্যায় প্রাঞ্জল, সাচ্ছন্দ্যপূর্ণ গতিময় ও প্রাণবন্ত করে। সময়ের অববাহিকায় এভাবেই রোগীর হারানো স্বাস্থ্যের পূণ:প্রতিষ্ঠায় হোমিওপ্যাথি দর্শন আদর্শ আরোগ্যের পথ অনুসরণে বদ্ধপরিকর।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন