হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের কোয়ান্টাম পার্টিক্যাল নির্ধারণের ব্যর্থতা হোমিওপ্যথির নয় বরং আধুনিক বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।

হ্যানিমানিয়ান পার্টিক্যাল অথবা হোমিওপ্যাথিক কোয়ান্টাম পার্টিক্যাল তথা পটেন্সি মেডিসিনের পার্টিক্যাল নির্ধারণের ব্যর্থতা হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের অক্ষমতা প্রকাশ করেনা, বরং আধুনিক বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।

বিজ্ঞানী স্যামুয়েল হ্যানিমানের পর্যবেক্ষণে বারবার প্রমাণিত হয়েছে, হোমিওপ্যাথিক পর্যাপ্ত উচ্চ শক্তির মেডিসিন কখনো এতটা ক্ষুদ্র বা তরলায়িত বা মিনিমাইজ অথবা পাতলা করা যায়না, যেখানে গিয়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তার প্রভাব বিস্তার করার সক্ষমতা হারিয়ে অক্ষম হয়ে যায় ।

সুতরাং এর অর্থ হলো হোমিওপ্যাথিক উচ্চ শক্তির ঔষধ যেখানে কোন রাসায়নিক ক্যাপাসিটি থাকেনা, রাসায়নিক উপাদান থাকেনা, কোন যান্ত্রিক পর্যবেক্ষণে বস্তুর ক্ষুদ্রতম ক্ণার অস্তিত্বের সন্ধান মিলেনা, সেখানেও বাস্তবিক অর্থে এক ধরনের কণা থাকে যা বর্তমান পর্যন্ত কোন যান্ত্রিক পর্যবেক্ষণে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক উচ্চ শক্তির এ-ই কণাগুলোর অস্তিত্ব পর্যবেক্ষণ অথবা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন হয় হোমিওপ্যাথিক নির্দিষ্ট নিয়মের প্রুভিং এবং পর্যবেক্ষণ।

অথবা জীবন্ত মানুষের রোগাবস্থায় নির্দিষ্ট সিমিলিমাম হোমিওপ্যাথিক পটেন্সি মেডিসিনের নির্দিষ্ট নিয়মের প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণ । কারণ আধুনিক বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত এমন কোন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রিডিং বা সেন্সর মেশিন আবিষ্কার করতে পারেনি যা দিয়ে হোমিওপ্যাথিক উচ্চ শক্তির ফাইল থেকে কোন কণার অস্তিত্ব রিডিং অথবা সেন্স করতে পারে।

যদিও উচ্চ শক্তির ঔষধগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট যায়গায় নির্দিষ্ট স্কেলে তার ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে। এতে বুঝতে বাকি থাকেনা, হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কণা বের করার ব্যর্থতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সিস্টেমের উপর বর্তায়না, হোমিওপ্যাথিক দার্শনিক - বিজ্ঞানীদের উপর বর্তায়না।

বরং হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীগণ কোনকিছুতে পদার্থ বা কণার অস্তিত্ব প্রমাণে কাজ করেন না, তাদের কাজের উদ্দেশ্য তা নয়। হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান থেকে প্রণীত নির্দিষ্ট নিয়মে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ নির্দিষ্টভাবে নির্দিষ্ট রোগীদের উপর সফলভাবে কাজ করছেন। নির্দিষ্ট স্কেলের রোগী আরোগ্য বা উপশম দিচ্ছেন ।

এপ্লাইড ক্ষেত্রে সফলতা প্রমাণ করাই হোমিওপ্যাথিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের কাজ। যেহেতু শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্দিষ্ট শর্তে নির্দিষ্ট স্কেলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করে, রোগ আরোগ্যে করে, রোগের উপশম দেয়, প্রভাব বিস্তার করে, শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন করে, অনুভূতির পরিবর্তন আনয়ন করে। এ-ই ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক সংশ্লিষ্ট দার্শনিক ও বিজ্ঞানীগণ অগণিত প্রমাণ জাহির করেছেন এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সিস্টেমের সত্যতা প্রমাণ করেছেন।

এসকল পর্যবেক্ষণ ও পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত মেডিসিনগুলো মূল ভেষজের কানেকশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়না, শুন্য অস্তিত্বে চলে যায়না, বরং রুপান্তরিত রুপে মূল ভেষজের সাথে সংশ্লিষ্ট একটা কিছু ধারণ করে। উচ্চ শক্তির প্রতিটি মিডিয়ামে মূল ভেষজের সাথ কানেক্টেড একটা কিছুর অস্তিত্ব আছে তাই প্রমাণ করে।

এখন সারা পৃথিবীর পদার্থ বিজ্ঞানীদের দায়িত্ব হলো, এমন কোন শক্তিশালী সেন্সর মেশিন আবিষ্কার করা যার মাধ্যমে শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কেন কাজ করে, কেন প্রভাব বিস্তার করে, কেন অনুভূতির পরিবর্তন করতে পারে, কেন রোগ আরোগ্যে বা উপশম দিতে পারে, কেন লক্ষণ তৈরি করতে পারে তার ব্যখ্যা বের করা। হোমিওপ্যাথিক পটেন্সি মেডিসিনে এমন কি আছে যার অস্তিত্বের কারণে তার উল্লেখিত ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে তার অনুসন্ধান নিশ্চিত করা।

যদি বিজ্ঞান এমন কোন শক্তিশালী সেন্সর মেশিন উপহার দিতে না পারে, তাহলে এই দায়ভার হোমিওপ্যাথিক সিস্টেমের উপর বর্তানোর প্রশ্নই আসেনা। অথবা হোমিওপ্যাথিক পটেন্সি মেডিসিনের কণা বের করার শক্তিশালী সেন্সর মেশিন আবিষ্কার না হওয়ার অর্থ এটা প্রমাণ করেনা, হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনগুলো মূল ভেষজের পার্টিক্যাল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটাও প্রমাণ করেনা, পটেনটাইজড মেডিসিনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সকল রেজাল্ট, প্রভাব, ইফেক্ট, একশন জাস্ট প্লাসিবো ইফেক্ট অথবা প্লাসিবো একশন।

বরং এটাই প্রমাণিত হয়, বিজ্ঞান এতদূর পর্যন্ত এখনো অগ্রসর হতে পারেনি, যতদুর পর্যন্ত অগ্রসর হলে হোমিওপ্যাথিক পটেন্সি মেডিসিন সম্পৃক্ত সকল প্রশ্নের, সমস্যার অথবা সন্দেহের একটি সুস্পষ্ট, সরল, গাণিতিক, যান্ত্রিক, ম্যাকানিকাল ব্যখ্যা দিতে সক্ষম। এটাতো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির বা পটেন্সি মেডিসিনের অক্ষমতা প্রমাণ করেনা। বরং আধুনিক বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে মাত্র।

Afjal Islam

Discoverer, Afjal Vibration and frequency system (01742700531)

Homeopathy Remote Controlling Treatment